ক্রোমোসোমের ভৌত গঠন

ক্রোমোজোমের-গঠন

ক্রোমোজোমের-গঠন

সংজ্ঞাঃ

কোষের নিউক্লিয়াসে অবস্থিত অনুলিপন ক্ষমতা সম্পন্ন ক্ষুদ্রাঙ্গ যা বংশগতীয় উপাদান, মিউটেশন, প্রকরন ইত্যাদি কাজে ভূমিকা পালন করে তাকে ক্রোমোসোম বলে। ক্রোমোসোম অর্থ হলো রঞ্জিত দেহ বা রংধারনারী দেহ।

আবিষ্কারকঃ

১৮৭৫ সালে স্ট্রেসবার্জার ক্রোমোসোম আবিষ্কার করেন এ ওয়েলডেয়ার ১৮৮৮ সালে ক্রোমোসোম নামকরন করেন।

 

ক্রোমোসোমের গঠনঃ

একটি আদর্শ ক্রোমোসোম নিম্নোক্ত অংশের সমন্বয়ে গঠিত-

১. ক্রোমাটিডঃ

কোষ বিভাজনের মেটাফেজ পর্যায়ে প্রাতটি ক্রোমোসোম অনুদৈর্ঘ্য বরাবর দুটি খন্ডে বিভক্ত থাকে। এ ধরনের প্রতিটি খন্ডকে ক্রোমাটিড বলে।

২. ক্রোমাটিনঃ

ক্রোমাটিডের দৈর্ঘ্য বরাবর সূক্ষ তন্তুর ন্যায় এক বা একাধিক যে অংশ দেখা যায় তাকে ক্রোমাটিন তন্তু বা ক্রোমেনেমা বলে। ক্রোমোজোমের মূল উপাদান হলো ক্রোমাটিন যা মূলত DNA প্রোটিন যৌগ।

৩. সেন্ট্রোমিয়ারঃ

রঞ্জিত করলে ক্রোমোসোমের যে অংশ রংহীন থাকে তাকে সেন্ট্রোমিয়ার বলে।

৪. মুখ্যকুঞ্চনঃ

সেন্ট্রোমিয়ার যে স্থানে থাকে সে স্থানে ক্রোমোজোমে একটি খাঁজ এর সৃষ্টি হয়। এই খাঁজকে মুখ্যকুঞ্চন বলে।

৫. বাহুঃ

সেন্ট্রোমিয়ারের দুই পাশের ক্রোমোজোমাল অংশকে বাহু বলা হয়। প্রতিটি ক্রোমোসোমের দুটি বাহু থাকে।

ক্রোমোসোমের-ভৌত-গঠন

ক্রোমোসোমের-ভৌত-গঠন




৬. কাইনেটোকোরঃ

প্রতিটি ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ারে এটি ছোট গাঠনিক অবকাঠামো থাকে যাকে কাইনেটোকোর বলে।

৭. ক্রোমোমিয়ারঃ

মিয়োসিসের প্যাকাইটিন উপপর্যায়ে ক্রোমোজোমের উপর যে গোলাকার দানার মতো অংশগুলো দেখা যায় তাকে ক্রোমোমিয়ার বলে।

৮. গৌন ‍কুঞ্চনঃ

সেন্ট্রোমিয়ার ছাড়াও কোন কোন ক্রোমোসোমে এক বা একাধিক কুঞ্চিত অংশ রয়েছে একে গৌন কুঞ্চন বলে।

৯. স্যাটেলাইটঃ

গৌন কুঞ্চন দ্বারা পৃথক করা গোলাকার অংশকে স্যাটেলাইট বলে। স্যাটেলাইট যুক্ত ক্রোমোজোমকে “স্যাট ক্রোমোজোম “ বলে।

১০. টেলোমিয়ারঃ

ক্রোমোসোমের প্রান্তের বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ন অঞ্চলকে টেলোমিয়ার বলে।

১১. পেলিকলঃ

ক্রোমোসোমের কল্পিত বহিরাবরনকে বলে পেলিকল।

১২. ম্যাট্রিক্সঃ

ক্রোমাটিন তন্তুর চারদিকে পেলিকল দ্বারা আবৃত স্তরকে ম্যাট্রিক্স বলে।