এ পাঠে যা রয়েছে-
এপিডারমাল টিস্যুতন্ত্রঃ
যে টিস্যুতন্ত্র উদ্ভিদ অঙ্গের বহিরাবরণ বা ত্বক সৃষ্টি করে তাকে এপিডারমাল বা ত্বকীয় টিস্যুতন্ত্র বলে । উদ্ভিদের কান্ড ,শাখা-প্রশাখা, পাতা ,মূল, ফুল ,ফল বীজ প্রভৃতি অঙ্গের ত্বক এই টিস্যুতন্ত্রের অন্তর্গত ।
স্টোমাটা বা পত্ররন্ধ্রঃ
উদ্ভিদের বায়োবীয় অংশের ত্বকে অবস্থিত দুটি রক্ষীকোষ দিয়ে বেষ্টিত ও নিয়ন্ত্রিত বিশেষ ছিদ্রকে স্টোমাটা বা পত্ররন্ধ্র বলে । সাধারণত দিনের বেলায় পত্ররন্ধ্র খোলা থাকে এবং রাতের বেলায় বন্ধ থাকে।
পত্ররন্ধ্রের কাজঃ
– উদ্ভিদের ভেতর ও বাইরের পরিবেশের মধ্যে গ্যাসের আদান-প্রদান করা ।
– মূল দ্বারা সংগৃহীত পানি প্রস্বেদনের সাহায্যে বাষ্পাকারে বের করে দেয়া ।
– সালোকসংশ্লেষণের সময় পত্ররন্ধ্র পথে বায়ু হতে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস সংগ্রহ ও অক্সিজেন গ্যাস ত্যাগ করা ।
– শ্বসনের সময় রন্ধ্র পথে বায়ু হতে অক্সিজেন গ্যাস গ্রহণ করা ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস ত্যাগ করা ।
– রক্ষীকোষ পত্ররন্ধের খোলা বন্ধ হওয়া নিয়ন্ত্রণ করে ।
– রক্ষী কোষের ক্লোরোপ্লাস্ট খাদ্য তৈরি করে।
পানি পত্ররন্ধ্র বা হাইডাথোডঃ
বিশেষ পরিস্থিতিতে উদ্ভিত দেহ থেকে দেহের অঙ্গের মাধ্যমে পানি নির্গত হয় তাকে পানি পত্ররন্ধ্র বা হাইডাথোড বলে। পানি- পত্ররন্ধ্র এক বিশেষ ধরনের পানি নির্মোচন অঙ্গ। ঘাস, কচু টমেটো ইত্যাদি গাছের পাতার কিনারায় প্রচন্ড গরমের দিনে পানির ফোঁটার সারি দেখে এ অঙ্গের অবস্থান জানা যায় ।
গাটেশনঃ
পানি পত্ররন্ধ্র বা হাইডাথোড দিয়ে তরল পানি বের হয়ে যাওয়াকে গাটেশন বলে ।
গ্রাউন্ড টিস্যুতন্ত্রঃ
ত্বক ও পরিবহনতন্ত্র ছাড়া উদ্ভিদ দেহের অন্যান্য অংশগ্রহণকারী টিস্যুতন্ত্রকে গ্রাউন্ড টিস্যুতন্ত্র বলে। একে আদি টিস্যুতন্ত্রও বলে । এক বা একাধিক টিস্যু নিয়ে এই টিস্যুতন্ত্র গঠিত। প্যারেনকাইমা টিস্যু দিয়ে মূলত এই টিস্যুতন্ত্র গঠিত । এই টিস্যুতন্ত্র কে দুই ভাগে ভাগ করা যায় যথা- বহিঃস্টিলীয় অঞ্চল ও অন্তঃস্টিলিও অঞ্চল।
চলবে….