এ পাঠে যা রয়েছে-
গলগি বডির গঠন ও কাজ

গলগি বস্তুর গঠন ও কাজ
সংজ্ঞাঃ
নিউক্লিয়াসের কাছাকাছি অবিস্থিত ও দ্বিস্তরী ঝিল্লি দ্বারা আবদ্ধ ছোট নালিকা, ফোস্কা বা ল্যামেলির মত সাইটোপ্লাজমিক অঙ্গানুর নাম গলগি বডি বা বস্তু। মসৃন এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম হতে গলগি বস্তু সৃষ্টি হয়।
আবিষ্কারকঃ
ইতালীয় স্নায়ুতত্ত্ববিদ ক্যামিলো গলগি ১৮৯৮ সালে গলগি বডি আবিষ্কার করেন। তার নাম অনুসারেই গলগি বডির নামকরন করা হয়।
কোষের ট্রাফিক পুলিশঃ
গলগি বডি কোষের কেন্দ্রেীয় অংশ থেকে ঝিল্লিবদ্ধ বস্তু বা ভেসিকল কোষের পরিধীর দিকে প্লাজমামেমব্রেন পর্যন্ত নিয়ে যায়। আবার গলগি বডি নিঃসৃত পদার্থের সংগ্রহ ও পরিবহনের ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখে। তাই গলগি বডিকে “কোষের ট্রাফিক পুলিশ” বলে।
কোষের কার্বোহাইড্রেট ফ্যাক্টরিঃ
গলগি বডিকে “কোষের কার্বোহাইড্রেট ফ্যাক্টরি” বলা হয়। কারন গলগি বডি কোষঝিল্লি নবায়ন ও কোষ প্রাচীর গঠনের মাধ্যমে কোষ বিভাজনে সাহায্য করে, গ্লাইকোপ্রোটিনের অলিগোস্যাকারাইডে পার্শ্ব শৃঙ্খল সংযুক্ত করে ও জটিল পলিস্যাকারাইড পদার্থের সংশ্লেষ ও নিঃসরন করে।
গলগি বডির গঠনঃ
গলগি বডিতে তিন ধরনের গঠনগত উপাদান দেখা যায়। যথা-
১. সিস্টারনিঃ
অসমান দৈর্ঘ্যের লম্বা ও চ্যাপ্টা নালিকারমত উপাদানগুলোকে সিস্টারনি বলে। এটি গলগি বডির সবচেয়ে স্থিতিশীল উপাদান।
২. ভ্যাকুওলঃ
সিস্টারনির কাছে অবস্থিত গোলাকার থালার মত অংশ হলো ভ্যাকুওল। এটি এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলামের প্রাচীর প্রসারিত করনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়।
৩. ভেসিকলঃ
সিস্টারনির নিচের দিকের ক্ষুদ্র থলির মতো বস্তুগুলোকে ভেসিকল বলা হয়।

গলগি-বডির-গঠন-ও-কাজ
গলগি বডির কাজঃ
১. এটি এনজাইম ও হরমোন নিঃসরনে সহয়তা করে।
২. লিপিড সংশ্লেষন ও প্রোটিন ক্ষরন করে।
৩. কোষঝিল্লি নবায়ন ও কোষ প্রাচীর গঠনের মাধ্যমে কোষ বিভাজনে সাহায্য করে।
৪. শুক্রানু গঠনে ও বিপাকীয় কাজে সহয়তা করে।
৫. মাইটোকন্ড্রিয়াকে ATP উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করে।
৬. লাইসোসোম তৈরি করে ও কোষস্থ পানি বের করে দেয়।
৭. বিভিন্ন পলিস্যাকারাইড সংশ্লেষন ও পরিবহনে অংশ নেয়।
অনেক উপকৃত হলাম,শুকরিয়া রইল ম্যাম।