জিন/Gene

জিন

জিন

সংজ্ঞাঃ

ক্রোমোসোমের লোকসে অবস্থিত DNA অনুর সুর্নিদিষ্ট সিকোয়েন্স যা জীবের একটি নির্দিষ্ট কার্যকর সংকেত আবদ্ধ করে এবং প্রোটিন হিসেবে আত্নপ্রকাশ করে বৈশিষ্ট্যের বিকাশ ঘটায় তাকে জিন বলে।

এক কথায় বলা যায় যে “জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রনকারী ক্ষুদ্রতম একককে জিন বলে।”

গ্রেগর জোহান মেন্ডেল জিন চিহ্নিত করেন ও নামকরন করেন।

 

জিনের বৈশিষ্ট্যঃ

১. জিন গঠিত হয়েছে নিউক্লিক এসিড দিয়ে।

২. জিন প্রকৃত কোষের ক্রোমোসোমে এবং আদিকোষের প্লাজমিডে অবস্থান করে।

৩. জিন জীবের বৈশিষ্ট্য বংশানুক্রমে বহন করে।

৪. জীবের একটি বৈশিষ্ট্যের জন্য একাধিক জিন দ্বায়ী।

৫. জীবের প্রকরন ও মিউটেশনে জিন মুখ্য ভুমিকা পালন করে।

জিনের এককঃ

জিনকে বিভিন্ন একক রুপে প্রকাশ করা হয়। যেমন- রেকন, মিউটন, রেপ্লিকন ও সিসট্রন।

 

রেকনঃ

DNA অনুর যে ক্ষুদ্রতম একক জিনিটিক রিকম্বিনেশনে অংশ গ্রহন করে তাকে রেকন বলে।এটি জিন রিকম্বিনেশনের একক।

 

মিউটনঃ

DNA অনুর যে ক্ষুদ্রতম অংশে মিউটেশন ঘটে তাকে মিউটন বলে। এটি জিন মিউটেশনের একক।

 

রেপ্লিকনঃ

DNA এর যে অংশে DNA এর অনুলিপন নিয়ন্ত্রন করে তাকে রেপ্লিকন বলে। এটি জিনের অনুলিপনের একক।

 

সিসট্রনঃ

DNA অনুর যে খন্ডাংশ কোষীয় বস্তুর কার্যলাপ নিয়ন্ত্রন করে তাকে সিসট্রন বলে। এটি জিন কার্যের একক।



জিন প্রাকাশের ইউনিট বা অপেরনঃ

অপেরনঃ

আদি কোষে জিন প্রকাশের ইউনিটকে বলা হয় অপেরন। জিন ‍ক্রিয়ার নিয়ন্ত্রন ব্যাখ্যার জন্য “জেকব ও মোনাড” অপেরন মডেল প্রস্তাব করেন। চারটি অংশ নিয়ে অপেরন গঠিত। যথা-

১. গাঠনিক জিন

২. প্রোমোটার বা উদ্দিপক জিন

৩. অপারেটর বা চালক জিন

৪. রেগুলেটর বা নিয়ন্ত্রক জিন।