জাইগোটের বিকাশ
উন্নত শ্রেণীর উদ্ভিদ পুং গ্যামেটোফাইটের বিকাশ এর মধ্যে দিয়ে পুং গ্যামেট বা শুক্রাণু সৃষ্টি ও স্ত্রী গ্যামেটোফাইটের বিকাশের মধ্যে দিয়ে স্ত্রী গ্যামেট ডিম্বাণু সৃষ্টি হয় । এবং নিষেকের মাধ্যমে অর্থাৎ পুং গ্যামেট ও স্ত্রী গ্যামেট এর মিলনের ফলে জাইগোটের সৃষ্টি হয়ে গ্যামেটোফাইট পর্যায়ের সমাপ্তি ঘটে। এই জাইগোট কোষটি স্পোরোফাইটের প্রথম কোষ এবং এটি বিভিন্ন ধাপে বিভাজিত হয়ে শেষ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ উদ্ভিদ স্পোরোফাইটের সৃষ্টি করে।
নিষেকের ফলে সৃষ্ট জাইগোট প্রথম বিভাজনে দুটি কোষ সৃষ্টি করে এবং একই সাথে দ্বিনিষেক এর ফলে সৃষ্ট সস্যেরও পরিস্ফুটন করতে থাকে। জাইগোটের বিভাজন অনুপ্রস্থ ঘটে এবং সৃষ্ট দুটি কোষের মধ্যে ডিম্বকরন্ধ্রের দিকের কোষটিকে বলা হয় ভিত্তি করে এবং ভ্রুনথলি কেন্দ্রের দিকে বলা হয় এপিকাল কোষ। একই সাথে ভিত্তি কোষ ও এপিকাল কোষের বিভাজন চলতে থাকে ।ধীরে ধীরে এপিক্যাল কোষ গুলো ও ভিত্তি কোষ ভ্রুন ধারক গঠন করে এবং পরবর্তীতে বীজপত্র, ভ্রুণমূল ও ভ্রুনকান্ডের সৃষ্টি হয়। অপরদিকে শস্য কোষটি শস্য টিস্যূ উৎপন্ন করে। পরিণত অবস্থায় সম্পূর্ণ গর্ভাশয়টি ফলে পরিণত হয় এবং গর্ভাশয়ে অবস্থিত ডিম্বক টি সস্য ও ভ্রুনসহ বীজে পরিণত হয় ।এই বীজ অঙ্কুরোদগম এর ফলে একটি পূর্ণাঙ্গ উদ্ভিদ বা স্পোরোফাইটের সৃষ্টি করে ।
উপরোক্ত আলোচনা হতে স্পষ্টই বোঝা যায় যে একটি সপুষ্পক উদ্ভিদের জীবন চক্রে গ্যামেটোফাইট ও স্পোরোফাইট পর্যায় চক্রাকারে চলতে থাকে।
প্রাণীতে নিষেকের মৌলিক তাৎপর্য
নিষেকের ফলে ভ্রূণে ডিপ্লয়েড ক্রোমোজোমের সংখ্যা পুনঃস্থাপিত হয় ।
নিষেক ডিম্বানুকে পরিস্ফুটনের জন্য সক্রিয় করে তোলে।
নিষেকের ফলেই ক্রোমোজোম কর্তৃক বহনকৃত পিতা-মাতার বৈশিষ্ট্যগুলোকে একত্রিত করে ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারিত হয়।
বংশ বিস্তার এবং বংশ রক্ষার জন্য প্রজনন প্রক্রিয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। আর নিষেকের ফলেই এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয় এবং মাতৃগর্ভে ভ্রূণের সৃষ্টি হয় ও সন্তান জন্ম নেয়।