এইডস (AIDS)

এইডসের পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো AIDS- Acquired Immune Deficiency Syndrome. HIV নামক ভাইরাসের সংক্রমণে যে রোগ হয় তাকে AIDS বলে । বর্তমান বিশ্বে এইডস একটি মারাত্মক ঘাতক ব্যাধি হিসেবে পরিচিত । ১৯৮১ সালে সর্বপ্রথম এই রোগটি আবিষ্কৃত হয়। 

HIV:

HIV এর পূর্ণরূপ হিউম্যান ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস Human Immune Deficiency Virus. AIDS রোগের সংক্রমণ এর জন্য দায়ী ভাইরাস কে বলে HIV. এই ভাইরাসের আক্রমণে রোগীর দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিনষ্ট হয় এবং যার ফলে রোগীর মৃত্যু অনিবার্য ।

এইডস (AIDS) কারণঃ

১. এইডস আক্রান্ত পুরুষ বা মহিলার সাথে অনিরাপদ যৌন মিলনের মাধ্যমে এ রোগ হয়।

২.  আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ করলে এ রোগ হয়।

৩.  আক্রান্ত মায়ের গর্ভের সন্তানের এই রোগ হতে পারে এবং এইডস আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ পানের ফলে সন্তানের এইডস হতে পারে। 

৪. HIV জীবাণুযুক্ত ইনজেকশনের সিরিঞ্জ, সূচ, দন্ত চিকিৎসকের যন্ত্রপাতি এবং অপারেশনের যন্ত্রপাতির ব্যবহারের মাধ্যমে এ রোগ হতে পারে। 

৫. এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির কোন অঙ্গ সুস্থ ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন এর ফলে। 

এইডস (AIDS) রোগের লক্ষণঃ

১.  দ্রুত রোগীর ওজন কমতে থাকে।

২.  এক মাসেরও বেশি সময় ধরে একটানা জ্বর থাকে।

৩.  এক মাস ও তারও বেশি সময় ধরে পাতলা পায়খানা হয় ।

৪. অনেকদিন ধরে শুকনো কাশি হতে থাকে।

৫.  ঘাড় ও বগলের ব্যথা অনুভূত হয়, মুখমণ্ডল খসখসে হয়ে যায়।

৬.  সারা দেহে চুলকানি হয়।

৭.  মুখমণ্ডল, চোখের পাতা, নাক ইত্যাদি অঙ্গ হঠাৎ ফুলে যায় এবং সহজেই ফোলা কমে না। 

এইডস (AIDS) রোগের প্রতিরোধঃ

১. HIV প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজন শিক্ষা, সচেতনতা, সঠিক জ্ঞান  ও ধারণা এবং মানুষের চিন্তা ও আচরণের ইতিবাচক পরিবর্তন।

২.  ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা ও সামাজিক অনুশাসন অনুসরণ করা ।

৩. ইনজেকশনের সুচ ও সিরিঞ্জ ইত্যাদি ব্যবহারের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা ।

৪. জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের সাহায্যে প্রতিরোধমূলক তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

৫.  রক্ত বা অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে পরীক্ষা নিতে হবে। 

এইডস (AIDS) মারাত্মক ঘাতক ব্যাধিঃ

 এইডস (AIDS)  রোগের ভাইরাস HIV শ্বেত রক্ত কণিকার ক্ষতিসাধন করে এবং এন্টি বডি তৈরিতে বিঘ্ন ঘটায়, ফলে এই ভাইরাসের আক্রমণে রোগীর দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিনষ্ট হয়ে যায়।  ফলে রোগীর মৃত্যু অনিবার্য হয়ে পড়ে। এ রোগের প্রতিকারে কোন ঔষধ আবিষ্কৃত হয়নি। এজন্য এইডস (AIDS) মারাত্মক ঘাতকব্যাধি বা মরণব্যাধি বলা হয়।