RNA এর প্রকারভেদ ও কাজ

RNA-এর-প্রকারভেদ-ও-কাজ

RNA-এর-প্রকারভেদ-ও-কাজ

গঠন ও কাজের ভিত্তিতে RNA কে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা-

১. ট্রন্সফার RNA বা tRNA

২. বর্তাবহ বা মেসেন্জার RNA বা mRNA

৩. রাইবোজোমাল RNA বা  rRNA

৪. বংশগতি বা জেনেটিক RNA বা gRNA

৫. মাইনর RNA

১. ট্রন্সফার RNA বা tRNA

যেসব RNA জেনেটিক কোড অনুযায়ী একেকটি অ্যামিনো এসিডকে mRNA অনুতে স্থানান্তর করে প্রোটিন সংশ্লেষে সাহায্য করে তাদেরকে tRNA বলে। এরা কোষের সাইটোপ্লাজমে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে, এছাড়াও নিউক্লিয়াসের ভিতরে tRNA সৃষ্টি হয়। এতে প্রায় ৯০ টি নিউক্লিয়োটাইড থাকে।

  tRNA এক সূত্রক এবং লম্বা চেইনের মতো থাকে এবং পরবর্তীতে এটি ভাঁজ হয়ে যায় এবং বিভিন্ন বেস এর মধ্যে জোড়ার সৃষ্টি হয়ে একটি  tRNA তে একাধিক ফাঁস বা লুপ সৃষ্টি হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ফাঁস হলো অ্যান্টেোডন ফাঁস যা mRNA এর কোডনের সাথে মুখোমুখি বসে যেতে পারে।

tRNA

tRNA

 tRNA এর 3’ এর প্রান্ত এক সূত্রক ও সবসময় CCA ধারায় বেস সজ্জিত হয়। এখানে অ্যামিনো এসিড যু্ক্ত হয় বলে একে অ্যামিনো এসিড সাইট বলে। অ্যান্টিকোডন ফাঁস ও অ্যামিনো এসিড সাইট পরস্পর বিপরীতে অবস্থান করে।



 tRNA এর কাজ

 tRNA কোষের সাইটোপ্লাজম থেকে  mRNA কর্তৃক নির্দেশিত সংকেত অনুসারে সঠিক অ্যামিনো এসিড পরিবহন করে প্রোটিন সংশ্লেষনের স্থানে নিয়ে যায়।

২. বর্তাবহ বা মেসেন্জার RNA বা mRNA

যে সব RNA জিনের সংকেত অনুযায়ী প্রোটিন সংশ্লেষনের ছাঁচ হিসেবে কার্যকর হয়ে নির্দিষ্ট অ্যামিনো এসিড অনুক্রম বাছাই করে তাদেরকে বর্তাবহ বা মেসেন্জার RNA বা mRNA ।

mRNA

mRNA

DNA থেকে ট্রান্সক্রিপশনের মাধ্যমে mRNA সৃষ্টি হয়। mRNA এক সূত্রক চেইনের মত, ফাঁস বিহীন এবং অত্যন্ত ক্ষনস্থায়ী । mRNA এর 5’ প্রান্তের কয়েকটি বেস কোডনবিহীন, এ প্রান্তকে  5’ লিডার বলে। আবার 3’ প্রান্তের কয়েকটি বেস কোডনবিহীন, এ প্রান্তকে 3’ ট্রেলার বলে। মাঝখানের অঞ্চলকে কোডিং অঞ্চল বলে। পরপর তিনটি বেস মিলে একটি কোডন হয়। 

 

mRNA এর কাজ

# নির্দিষ্ট প্রোটিন সংশ্লেষনের বার্তা নিউক্লিয়াস হতে সাইটোপ্লাজমে বহন করে।

# রাইবোসোম ও tRNA এর সাহায্যে নির্দিষ্ট অ্যামাইনো এসিডের অনুক্রমের শৃঙ্খল তৈরি করে।

 

৩. রাইবোজোমাল RNA বা  rRNA

যে সকল RNA রাইবোসোমের গাঠনিক উপাদান হিসেবে কাজ করে তাকে রাইবোসোমাল RNA বা rRNA বলে। এরা শাখাহীন এক সূত্রক। এতে প্রায় ৩০০০ টি নিউক্লিওটাইড থাকে, এরা সর্বাপেক্ষা স্থায়ী ও অদ্রবনীয়।

rRNA এর কাজ

রাইবোসোম নামক কোষ অঙ্গানু সৃষ্টিতে অবদান রাখে যার মাধ্যমে কোষে প্রোটিন সংশ্লেষিত হয়।

 

৪. বংশগতি বা জেনেটিক RNA বা gRNA

যে সকল RNA বংশগতীয় বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রন ও বহন করে তাদেরকে বংশগতীয় RNA বা gRNA বল।

 

gRNA এর কাজ

প্রধান কাজ প্রোটিন তৈরি করা ও বংশগতীয় বৈশিষ্ট্যের ধারন ও বহন করা।

 

৫. মাইনর RNA

যে সকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র RNA কোষে বিভিন্ন প্রোটিনের সাথে মিশে এনজাইমের কাঠামো দান করে তাদেরকে মাইনর RNA বলে। যেমন- সাইটোপ্লাজমীয় RNA (scRNA), নিউক্লিয় RNA (scRNA) ইত্যাদি।

 

মাইনর RNA কাজ

বিভিন্ন ধরনের এনজামের কাঠামো দান করা ও এনজাইম হিসেবে কাজ করা।



RNA এর কাজ

১. RNA এর প্রধান কাজ প্রোটিন সংশ্লেষন।

২. tRNA অ্যামিনো এসিড স্থানান্তর করে।

৩. rRNA রাইবোনিউক্লিয় প্রোটিন গঠন করে।

৪. mRNA, DNA হতে বর্তা বহন করে রাইবোসোমে পৌঁছায়।