মাইটোকন্ড্রিয়া (Mitochondria) এর কাজ এবং গঠন

মাইটোকন্ড্রিয়া (Mitochondria)

যে কোষীয় অঙ্গানু জীবকোষে শক্তি উৎপাদন করে তাকে মাইটোকন্ড্রিয়া বলে।

মাইটোকন্ড্রিয়ার গঠনঃ

মাইটোকন্ড্রিয়া দুই স্তর বিশিষ্ট আবরনী দিয়ে ঘেরা। এর বাহিরের স্তরকে বহিঃস্তর এবং ভিতরের স্তরকে অন্তঃস্তর বলে। মাইটোকন্ড্রিয়ার ভিতরের স্তরটি নানাভাবে ভাজ হয়ে ভিতরের দিকে ঝুলে থাকে। এক ক্রিস্টি বলে। ক্রিস্টির গায়ে গোলাকার বৃন্তযু্ক্ত বস্তু থাকে এদেরকে অক্সিজোম বলে। অক্সিজোমে উৎসেচগুলেু সাজানো থাকে। মাইটোকন্ড্রিয়ার অন্তঃস্তরের ভিতরে যে তরল পদার্থ থাকে তাকে ম্যাট্রিক্স বলে।

Mitochondria -মাটোকন্ড্রিয়া

Mitochondria -মাটোকন্ড্রিয়া

Mitochondria -মাটোকন্ড্রিয়া

Mitochondria -মাটোকন্ড্রিয়া

 




মাইটোকন্ড্রিয়া কাজঃ

১. মাইটোকন্ড্রিয়া জীবের শ্বসন কর্যে সাহায্য করে।

২. মাইটোকন্ড্রিয়ার মাধ্যমে শ্বসনের ফলে খাদ্য মধ্যস্থ শক্তি নির্গত হয় বলে একে কোষের শক্তি ঘর বলে।

৩. কোষের যাবতীয় কাজের জন্য শক্তি উৎপাদন এবং নিয়ন্ত্রন করা মাইটোন্ড্রিয়ার কাজ।

৪. মাইটোকন্ড্রিয়া শ্বসনের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম, কো-এনজাইম ধারন করে।

৫. স্নেহ জাতীয় খাদ্য বিপাকে সাহায্য করে মাইটোকন্ড্রিয়া।

৬. ক্রেবস চক্রসহ শ্বসনের গুরুত্বপূর্ন পর্যায়গুলো মাইটোকন্ড্রিয়ায় সম্পন্ন হয়।

কোষের শক্তিঘর বা পাওয়ার হাউস (Power house):

মাইটোকন্ড্রিয়া কোষের শ্বসন অঙ্গানু । এখানে শ্বসনের সকল কাজ সম্পন্ন হয়। আর এ শ্বসনের মাধ্যমেই জীবদেহের শক্তি উৎপন্ন হয়। ক্রেবস চক্রসহ শ্বসনের গুরুত্বপূর্ন পর্যায়গুলো মাইটোকন্ড্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। অর্থাৎ জীব তার সকল জৈবিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি এই মাইটোকন্ড্রিয়া হতে পায় বলে একে কোষের Power House বা শক্তিঘর বলা হয়।