রাইবোসোমের প্রকারভেদ, গঠন ও কাজ

রাইবোসোমের প্রকারভেদ, গঠন ও কাজ

রাইবোসোমের গঠন ও কাজ

সংজ্ঞাঃ

ঝিল্লিবিহীন ও দানাদার যে অঙ্গানু সাইটোপ্লাজমে মুক্ত অবস্থায় অবস্থান করে অথবা এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলামের গায়ে অবস্থান করে প্রোটিন সংশ্লেষন ঘটায় তাকে রাইবোসোম বলে। এটি অত্যন্ত ক্ষুদ্র ও গোলাকার। সাইটোপ্লাজমে একাধিক রাইবোসোম মুক্তার মালার মতো অবস্থান করেলে তাকে পলিরাইবোসোম বা পলিসোম বলে।

আবিষ্কারকঃ

১৯৫৪ সালে আলবার্ড ক্লড রাইবোসোম আাবষ্কার করেন এবং ১৯৫৮ সালে রবার্টস এর নামকরন করেন।

রাইবোসোমের প্রকারভেদঃ

রাইবোসোম প্রধানত দুই প্রকার। যথা-

১.70 S রাইবোসোম (এটি আদিকোষী জীবে পাওয়া যায়)

২.80 S রাইবোসোম (এটি প্রকৃতকোষী জীবে পাওয়া যায়)

রাইবোসোমের-গঠন

রাইবোসোমের গঠনঃ

রাইবোসোম দুটি অসমান উপ-এককের সমন্বয়ে গঠিত। স্বাভাবিক অবস্থায় উপ-একক দুটি  সাইটোপ্লাজমে মুক্ত অবস্থায় থাকে। শুধুমাত্র প্রোটিন সংশ্লেষনের সময় উপ একক দুটি একত্রিত হয়ে পূর্নঙ্গ দেহ গঠন করে। যেমন -80 S রাইবোসোম 60S ও 40S উপ এককের সমন্বয়ে গঠিত। যা প্রোটিন সংশ্লেষনের সময় একত্রিত হয়ে 80 S রাইবোসোম গঠন করে। প্রোটিন সংশ্লেষন শেষে আবার তারা পৃথক হয়ে যায়।




আবার আদিকোষের 70 S রাইবোসোম 50S ও 30S উপ এককের সমন্বয়ে গঠিত। প্রোটিন সংশ্লেষনের সময় 50S ও 30S সাব ইউনিট একত্রিত হয়ে 70 S রাইবোসোম একক গঠন করে এবং পরবর্তীতে পৃথক হয়ে যায়। রাইবোসোমের প্রধান উপাদান হচ্ছে RNA ও প্রোটিন। এছাড়াও এতে অল্প পরিমান ধাতব আয়ন যেমন – Mg++, Ca++ ও Mn++ ইত্যাদি থাকে।

রাইবোসোমের কাজঃ

১. রাইবোসোমের প্রধান কাজ প্রোটিন সংশ্লেষন করা। যা mRNA কে আবদ্ধ করে সংকেত অনুযায়ী বিভিন্ন অ্যামিনো এসিড সংযুক্ত করে পলিপেপটাইড চেইন গঠন করে। তাই রাইবোসোমকে কোষের প্রোটিন ফ্যাক্টরি বলা হয়।

২. mRNA কে নিউক্লিয়েজ এনজাইম ও নতুন পলিপেপটাইড চেইনকে প্রোটিওলাইটিক এনজাইমের ক্ষতিকর ক্রিয়া হতে সুরক্ষা করে।

Rabaya Bashri: Rabaya Bashri is a Lecturer with 14 years of teaching experience in biological science. Just after complete her M.Sc (Botany) she joined teaching profession. Having First Class all through her educational life she never seek for other job. She served most renowned school and colleges in Dhaka and Narayangonj city.