বাস্তুতন্ত্রে পুষ্টি প্রবাহ

বাস্তুতন্ত্রে পুষ্টি প্রবাহ চক্রাকার 

বাস্তুতন্ত্রে পুষ্টি প্রবাহ 1
বাস্তুতন্ত্রে পুষ্টি প্রবাহ চক্রাকার 

বাস্তুতন্ত্রে পুষ্টি প্রবাহ চক্রাকার বাস্তুতন্ত্রের পুষ্টি দ্রব্য উৎপাদক হতে খাদক ও সর্বশেষে বিয়োজক হতে পুনরায় উৎপাদকে প্রবাহিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে পুষ্টি প্রবাহ বলে । বাস্তুতন্ত্র শক্তি প্রবাহ চক্রাকার কারণ, উদ্ভিদ (উৎপাদক) অজৈব বস্তু গ্রহণ করে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরি করে যার কিছু অংশও উদ্ভিদ মূলজ প্রয়োজনে ব্যবহার করে, বাকি অংশ তার দেহে জমা থাকে। তৃণভোজী প্রাণী ( প্রথম স্তরের খাদক) এসব উদ্ভিদ খায় এবং পর্যায়ক্রমে মাংসাশী প্রাণী (দ্বিতীয়, তৃতীয় স্তরের খাদক) এসব তৃণভোজীদের খায়। এসব উৎপাদক (উদ্ভিদ)  ও (খাদক) প্রাণী মৃত্যুর পর বিয়োজক গুলো এদের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে অজৈব বস্তু তে রূপান্তরিত হয়ে পুনরায় পরিবেশে ফিরে আসে যা উৎপাদক (সবুজ) উদ্ভিদ পুনরায় গ্রহণ করে পুষ্টি পায় এভাবে পুষ্টি দ্রব্য চক্রাকারে প্রবাহিত হয়।

ট্রাফিক লেভেল

 খাদ্য শিকল এর প্রতিটি স্তরে ট্রাফিক লেভেল বলে। যেমন- উৎপাদক, প্রথম স্তরের খাদক,. দ্বিতীয় স্তরের খাদক, তৃতীয় স্তরের খাদক বা সর্বোচ্চ স্তরের খাদক প্রত্যেকেই এক একটি ট্রফিক লেভেল। 

সিমবায়োসিস ও  সিমবায়োন্ট

জীবজগতে বিভিন্ন প্রকার উদ্ভিদ ও প্রাণী দের মধ্যে বিদ্যমান জৈবিক সম্পর্কগুলোকে সিমবায়োসিস সহাবস্থান বলে। আর সিমবায়োসিস সম্পর্কযুক্ত জীবগুলোকে সিমবায়োন্ট বা সহাবস্থানকারী বলে ।

মিথস্ক্রিয়া

পরিবেশে সহাবস্থানকারী জীব গুলোর মধ্যে যে ক্রিয়া বিক্রিয়া ঘটে তাকে মিথস্ক্রিয়া বলে ।

আন্তঃ নির্ভরশীলতা

একটি পরিবেশের মিথস্ক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী জীবকুলের পরস্পরের উপর নির্ভরশীল তাই হল আন্ত নির্ভরশীলতা। আন্তনির্ভরশীল জীবগুলো কেউ স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। আন্ত নির্ভরশীলতা সম্পর্ক দুই ভাগে ভাগ করা যেতে পারে যেমন-

১.  ধনাত্মক আন্তঃক্রিয়া

 যে আন্তঃসম্পর্ক কে দুটি জীবের একটি অন্যটিকে সহায়তা করে তাকে ধনাত্মক আন্তঃক্রিয়া বলে।  যেমন- মিউচুয়ালিজম, কমেনসেলিজম।

২.  ঋণাত্মক আন্তঃক্রিয়া

 যে আন্ত সম্পর্কে দুটি জীবের একটি বা উভয়টি

ভিডিও লিংক- https://www.youtube.com/watch?v=ZfLrtyHeFoY
এ অধ্যায়ের অন্যান্য পাঠসমূহ-
১. বাস্তুতন্ত্র ও বাস্তুতন্ত্রের উপাদান
২. একটি পুকুরের বাস্তুতন্ত্র
৩.খাদ্য শিকল বা খাদ্য শৃংখল ও খাদ্যজাল
৪. শক্তির পিরামিড