পুং এবং স্ত্রী গ্যামেটোফাইটের উৎপত্তি / বিকাশ

পুং গ্যামেটোফাইটের উৎপত্তি বিকাশ / পুং গ্যামিট সৃষ্টি 

পরাগরেণু পুং গ্যামেটোফাইটের প্রথম কোষ । পড়ার মাতৃকোষ টি মিয়োসিস বিভাজন এর মাধ্যমে চারটি অপত্য কোষ সৃষ্টি করে ।এদেরকে পরাগ কোষ বলে। পরাগ  থলিতে থাকা অবস্থায় পরাগরেণুর অঙ্কুরোদগম শুরু হয় এবং এর নিউক্লিয়াসকে মাইটোসিস প্রক্রিয়া বিভাজিত হয় দুটি নিউক্লিয়াস বা কোষ গঠন করে ।

পুং গ্যামোটাফাইটের বিকাশ

পুং গ্যামোটাফাইটের বিকাশ



অপেক্ষাকৃত আকারে বড় নিউক্লিয়াসটিকে নালিকা নিউক্লিয়াস বা নালী কোষ বলে এবং আকারে ছোট নিউক্লিয়াসটিকে জনন নিউক্লিয়াস বা জেনারেটিভ কোষ বলে । নালিকা নিউক্লিয়াসটি পরাগরন্ধ্র পথে পরাগনালি তৈরি করে এবং পরাগনালিতে প্রবেশ করে।  নালিকা নিউক্লিয়াস এর পেছনে নিউক্লিয়াস নালীতে প্রবেশ করে এবং বিভাজিত হয়ে দুটি পুংগ্যামিট বা পুংজনন কোষ উৎপন্ন করে ।

স্ত্রী গ্যামেটোফাইটের উৎপত্তি বিকাশ  / স্ত্রী গ্যামেট সৃষ্টি 

স্ত্রীরেণু মাতৃকোষ স্ত্রী গ্যামেটোফাইটের প্রথম কোষ। এই স্ত্রীরেণু মাতৃকোষ টি মিয়োসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে চারটি অপত্য কোষ সৃষ্টি করে। সবচেয়ে নিচের কোষটি ছাড়া বাকি তিনটি নষ্ট হয়ে যায়। সবচেয়ে নিচের কার্যকরী স্ত্রীরেণু বৃদ্ধি পেয়ে ক্রমশ ভ্রুনথলি তে পরিণত হয়। ভ্রুনথলি নিউক্লিয়াসকে বিভক্ত হয়ে দুটি নিউক্লিয়াসে পরিণত হয় এবং ভ্রুনথলি দুই মেরুতে অবস্থান নেয়। এরপরে দুটি নিউক্লিয়াসের প্রতিটি পরপর দুইবার বিভক্ত হয়ে চারটি করে মোট আটটি নিউক্লিয়াস সৃষ্টি করে এবং ভ্রুনথলি দুই মেরুতে অবস্থান নেয় পরবর্তীতে দুই মেরু থেকে একটি করে মোট দুটি নিউক্লিয়াস মাঝখানে এসে মিলিত হয়ে গৌণ নিউক্লিয়াস সৃষ্টি করে। 

স্ত্রী গ্যামোটাফাইটের বিকাশ

স্ত্রী গ্যামোটাফাইটের বিকাশ




ভ্রুনথলির ডিম্বকরন্ধের দিকের কোষ তিনটিকে গর্ভযন্ত্র বলে। এর মাঝের কোষটি বড় একে ডিম্বাণু বলে। ডিম্বাণুর দুই পাশে দুটি কোষকে সহকারী কোষ বলে। গর্ভযন্ত্রের বিপরীত দিকের কোষ তিনটিকে প্রতিপাদ বলে ।