এ পাঠে যা রয়েছে-
মুখগহ্বর
মুখগহ্বর পৌষ্টিক নালীর দ্বিতীয় অংশ। মুখের অভ্যন্তরে দাঁত, জিহ্বা, ও লালা গ্রন্থি থাকে। এগুলো প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে। দাঁত খাদ্যকে চিবিয়ে ছোট ছোট অংশে পরিণত করে। যিহোবা খাদ্যবস্তুকে নেড়েচেড়ে চিবাতে সাহায্য করে এবং তার স্বাদ গ্রহণ করে। মুখের ভেতরে লালা গ্রন্থি থেকে এনজাইম ক্ষরণ হয়। এ গ্রন্থিগুলো কানের নিচে চোয়ালের পাশে এবং জিহবার নিচে অবস্থিত। লালা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত লালারসের মিউসিন খাদ্যকে পিচ্ছিল করে গলধঃকরণ সাহায্য করে। লালা রসের টায়ালিন ও মল্টেজ নামক এনজাইম শর্করা পরিপাকে অংশ নেয়।
দাঁত
মানব দেহের সবচেয়ে শক্ত অংশ দাঁত। প্রাপ্ত বয়সে মুখগহ্বরের ভেতরেও নিচে চোয়ালে 16 টি করে মোট 32 টি দাঁত থাকে। মানুষের স্থায়ী দাঁত চার ধরনের হয়। যথা-
১. কর্তন দাঁতঃ
এই দাঁত দিয়ে খাবার কেটে টুকরো করা হয়।৮ টি
২. ছেদন দাঁতঃ
এই দাঁত দিয়ে খাবার ছেঁড়া হয়। ৪ টি
৩. অগ্রপেশন দাঁতঃ
এই দাঁত দিয়ে চর্বন ও পেষন উভয় কাজ করা হয়। ৮ টি
৪. পেষন দাঁতঃ
এই দাঁত দিয়ে খাদ্যবস্তু চর্বন ও পেষন করা হয় । ৮টি
মাড়িরসবচেয়ে পেছনে দাঁত দুটো কে আক্কেল দাঁত বলা হয়। ৪ টি
অতএব মোট দাঁতের সংখ্যা = ৮+৪+৮+৮+৪ টি
=৩২ টি
দাঁতের গঠন
মানবদেহের সবচেয়ে শক্ত অংশ দাঁতের গঠনে রয়েছে তিনটি অংশ। যথা-
১. মুকুটঃ
মাড়ির উপরের অংশ।
২. মূলঃ
মাড়ির ভেতরের অংশ ।
৩. গ্রীবাঃ
দাঁতের মধ্যবর্তী অংশ।
প্রতিটি দাঁত ডেন্টিন, এনামেল, দন্তমজ্জা ,সিমেন্ট নামক উপাদান দিয়ে গঠিত।
ডেন্টিনঃ
দাঁত প্রধানত ডেন্টিন নামক শক্ত উপাদান দিয়ে গঠিত।
এনামেলঃ
দাঁতের মুকুট অংশের উপরিভাগে এনামেল নামক কঠিন উপাদান থাকে। এনামেল ও ডেন্টিন ক্যালসিয়াম ফসফেট ক্যালসিয়াম কার্বনেট এবং ক্লোরাইড দিয়ে তৈরি।
দন্তমজ্জাঃ
ডেন্টিনের ভিতর ফাঁপা নরম অংশকে দন্তমজ্জা বলে। এর ভিতর ধমনী, শিরা, স্নায়ু ও নরম থাকে। এটি ডেন্টিনে পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহ করে।
সিমেন্টঃ
সিমেন্ট নামক পাতলা আবরণ দিনটিকে আবৃত করে রাখে। সিমেন্ট এর সাহায্যে দাঁত মাড়ির সাথে আটকানো থাকে।
এ অধ্যায়ের অন্যান্য পাঠ-
# উদ্ভিদের পুষ্টিতে বিভিন্ন খনিজ উপাদানের ভূমিকা
# খাদ্য উপাদান-খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন, খনিজ লবণ,পানি ও খাদ্যআঁশ বা রাফেজ