ট্রন্সক্রিপশন প্রক্রিয়া
সংজ্ঞাঃ
DNA অনুতে গ্রথিত রাসায়নিক তথ্যগুলোকে RNA বা mRNA অনুতে কপি করার প্রক্রিয়াকে ট্রান্সক্রিপশন বলে। এক কথায় বলা যায় যে, DNA থেকে RNA উৎপাদন প্রক্রিয়ার নাম হলো ট্রান্সক্রিপশন।
ট্রন্সক্রিপশন পদ্ধতিঃ
# DNA অনুর যে টুকু জায়গা ১টি mRNA অনুকে ট্রান্সক্রিপ্ট করে তাকে ট্রান্সক্রিপশন একক বলে।
# ট্রান্সক্রিপশনের শুরুতেই ট্রান্সক্রিপশন এককের নির্দিষ্ট স্থানে হেলিকেজ এনজাইমের প্রভাবে DNA এর সূত্রগুলোর মধ্যকার হাইড্রোজেন বন্ড বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে সূত্রগুলো পৃথক হয়ে পড়ে।
# পৃথক DNA সূত্রের 3’–5’ অভিমূখী সূত্রটি mRNA তৈরির ছাঁচ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং 5’—3’ অভিমুখে RNA এর ট্রান্সক্রিপশন শুরু হয়।
# RNA এর যে সূত্রটি ছাঁচ হিসেবে ব্যবহৃত হয় তাকে ট্রান্সক্রাইবিং সূত্র বলে এবং অপর DNA সূত্রটিকে কমপ্লিমেন্টারী সূত্র বলে।
# RNA পলিমারেজ এনজাইমের প্রভাবে ট্রান্সক্রাইবিং শুরু হয়। ছাঁচ DNA সূত্রের 3’–5’ অভিমুখে একটি করে নিউিইক্লওটাইড ধরে অগ্রসর হয় এবং পরিপূরক ক্ষারক যুক্ত করে mRNA উৎপন্ন করে। এ ক্ষেত্রে ট্রন্সক্রাইবিং সূত্রের A,T,G,C ক্ষারকের বিপরিতে যথাক্রমে UTP, ATP, GTP ও CTP সংযুক্ত হয়। একই সাথে পিছনে DNA ডাবল হেলিক্স পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়।
# তৈরিকৃত mRNA সূত্রটি হবে ছাঁচ DNA সূত্রের বিপরিত কিন্তু কমপ্লিমেন্টারী সূত্রের অনুরুপ। শুধুমাত্র DNA এর থায়ামিনের (T) বদলে mRNA তে ইউরাসিল (U) যুক্ত হবে।
# ট্রান্সক্রিপশন শেষে RNA পলিমারেজ এনজাইম ট্রন্সট্রাইবিং সূত্র থেকে পৃথক হয়ে যায়। এভাবে ট্রান্সক্রিপশন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়।