Table of Content
১. খাদ্য শিকল বা খাদ্য শৃংখল
১.১খাদ্য শৃংখল এর প্রকারভেদ
১.২. শিকারজীবি খাদ্য শিকল
১.৩.পরজীবী খাদ্য শিকল
১.৪. মৃতজীবী খাদ্য শিকল
১.৫. অসম্পূর্ণ খাদ্য শিকল
২. প্লাংকটন
৩. খাদ্যজাল
এ পাঠে যা রয়েছে-
খাদ্য শিকল বা খাদ্য শৃংখল
খাদ্য শক্তি উৎপাদক থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের খাদকের মধ্যে প্রবাহিত হলে সেই প্রবাহকে একসাথে খাদ্য শিকল বা খাদ্য শৃংখল বলে। যেমন
ঘাস → ফড়িং→ ব্যাংক → সাপ → গুইসাপ উৎপাদক → প্রথম স্তরের খাদক→ দ্বিতীয় স্তরের খাদক →তৃতীয় স্তরের খাদক→ সর্বোচ্চ স্তরের খাদক
খাদ্য শৃংখল এর প্রকারভেদ
বিভিন্ন ধরনের বাস্তুতন্ত্র খাদ্য শিকল বিভিন্ন ধরনের হয় যেমন- শিকারজীবী খাদ্য শৃংখল, পরজীবী খাদ্য শিকল এবং মৃতজীবী খাদ্য শিকল ।
শিকারজীবি খাদ্য শিকল
যে খাদ্য শিকল এর প্রথম স্তরের খাদক আকারে সবচেয়ে ছোট থাকে এবং পর্যায়ক্রমে উপরের খাদকেরা নিচের স্তরের খাদক গুলো শিকার করে খায়, সেই খাদ্য শিকল কে শিকারজীবি খাদ্য শিকল বলে। যেমন-
শৈবাল → জুপ্লাংকটন → ছোট মাছ → বড় মাছ → বাজপাখি
পরজীবী খাদ্য শিকল
পরজীবী উদ্ভিদ ও প্রাণী অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিজেদের চেয়ে বড় আকারের পোষক দেহ থেকে খাদ্য গ্রহণ করে। কোন কোন ক্ষেত্রে একটি পরজীবীর উপর আরেক ধরনের ক্ষুদ্রতর পরজীবী তার খাদ্যের জন্য নির্ভরশীল হয়। এক্ষেত্রে খাদ্য শিকল এর প্রথম ধাপ সব সময় সবুজ উদ্ভিদ নাও থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে সিটি অসম্পূর্ণ থাকে। যেমন-
মানুষ → মশা→ ডেঙ্গু ভাইরাস
মৃতজীবী খাদ্য শিকল
যে খাদ্য শিকল জীবের মৃতদেহ থেকে শুরু হয়ে একাধিক খাদ্য স্তরে বিন্যস্ত হয় তাকে বলা হয় মৃতজীবী খাদ্য শিকল। এই শিকলটি ও অসম্পূর্ণ থাকে। যেমন-
মৃতদেহ → ছত্রাক → কেচো
অসম্পূর্ণ খাদ্য শিকল
যে খাদ্য শিকলে উৎপাদক ( সবুজ উদ্ভিদ) থাকে না শুধু খাদক বিয়োজক বা যেকোনো একটি থাকে সে খাদ্য শিকলকে অসম্পূর্ণ খাদ্য শিকল বলা হয় । যেমন-
পরজীবী খাদ্য শিকল
মানুষ → মশা→ ডেঙ্গু ভাইরাস
মৃতজীবী খাদ্য শিকল
মৃতদেহ → ছত্রাক → কেচো
প্লাংকটন
পানিতে ভাসমান ক্ষুদ্র জীবদের বলা হয় প্লাংকটন, পানিতে ভাসমান ক্ষুদ্র উদ্ভিদ (সালোকসংশ্লেষণকারী) কে ফাইটোপ্লাংটন বলে। পানিতে ভাসমান ক্ষুদ্র প্রাণী যারা ফাইটোপ্লাংটন কে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে তাদেরকে জুপ্লাংকটন বা প্রাণী প্লাংটন বলে।
খাদ্যজাল
বাস্তুতন্ত্রে বেশ কয়েকটি খাদ্য শিকল একত্রিত হয়ে যে জালের মত গঠন তৈরি করে তাকে খাদ্যজাল বলে ।বাস্তুতন্ত্রের খাদ্য শিকলে একই খাদক বিভিন্ন স্তরে স্থান পেতে পারে। আর এ কারণেই এই সকল খাদ্য শিকল গুলো একত্রে দেখতে জালের মতো মনে হয়। যেমন-
উপরের খাদ্যজাল এ মোট পাঁচটি খাদ্য শিকল পাওয়া যায়। যথা-
১. শৈবাল → ছোট মাছ → বাজপাখি
২. শৈবাল → জুপ্লাংকটন →বড় মাছ →বাজপাখি
৩. শৈবাল → ছোট মাছ →বড় মাছ →বাজপাখি
৪. শৈবাল →জুপ্লাংকটন →ছোট মাছ →বাজপাখি
৫. শৈবাল →জু প্লাংটন →ছোট মাছ →বড় মাছ →বাজপাখি