এ পাঠে যা রয়েছে-
কোষ ও এর গঠন
Cell (সেল) বা কোষঃ
কোষ এর ইংরেজি প্রতিশব্দ Cell (সেল) এর অর্থ ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠ।
”জীবদেহের গঠন ও কার্যকরী একক হল কোষ।”
অন্যভাবে বলা যায় যে,
“ বৈষম্যভেদ্য পর্দা দ্বারা আবৃত এবং জীবজ ক্রিয়া-কলাপ এর একক যা অন্য সজীব মাধ্যম ছাড়াই নিজের প্রতিরূপ তৈরি করতে পারে তাকে কোষ বলে। ”
Cell (সেল) বা কোষ আবিষ্কারকঃ
বিজ্ঞানী রবার্ট হুক 1665 সালে সর্ব প্রথম কোষ দেখতে পান তথা আবিষ্কার করেন । তবে তিনি মৃতকোষ দেখেছিলেন এবং নামকরণ করেন সেল। পরবর্তীতে ডাচ বিজ্ঞানী লিউয়েন হুক সর্বপ্রথম জীবিত কোষ পর্যবেক্ষণ করেন।
Cell (সেল) বা কোষ বৈশিষ্ট্যঃ
১. জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল গাঠনিক ও আণবিক উপাদান কোষে থাকে।
২. কোষ তার প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ভেতরে গ্রহণ করতে পারে।
৩. সুনিয়ন্ত্রিত ভাবে বেড়ে উঠতে পারে।
৪. চারপাশে যে কোন উত্তেজনার প্রতি সাড়া দিতে পারে।
৫. একটি Homeostatic অবস্থা বজায় রাখতে পারে ও প্রয়োজনে অভিযোজিত হতে পারে।
কোষের প্রকারভেদঃ
অবস্থান ও কার্য ভেদে কোষ দুই প্রকার যথা-
১. দেহ কোষ বা সোমাটিক কোষ বা ডিপ্লয়েড কোষ
২. জনন কোষ বা রিপ্রোডাক্টিভ কোষ বা হ্যাপ্লয়েড কোষ
আবার নিউক্লিয়াস এর উপর ভিত্তি করে কোষ দুই প্রকার যথা –
১. আদি কোষ বা প্রোক্যারিওটিক কোষ
২. প্রকৃত কোষ বা ইউক্যারিওটিক কোষ
জীবের উপর ভিত্তি করে প্রকৃত কোষ দুই প্রকার যথা-
১. উদ্ভিদ কোষ
২. প্রাণী কোষ
দেহ কোষঃ
বহুকোষী জীবের যে সকল কোড শুধুমাত্র জীব দেহ গঠন করে তাদেরকে দেহ কোষ বলে এরা ডিপ্লয়েড (2n) কোষ ।
জনন কোষঃ
বহুকোষী জীবের যে সকল কোষ শুধুমাত্র জীবের জনন কাজে অংশ নেয় তাদেরকে জনন কোষ বলে এরা হ্যাপ্লয়েড (n)।
আদি কোষঃ
জীবের যে সকল কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস নেই তাদেরকে আদিকোষ বলে। আদি কোষ দ্বারা গঠিত জীবকে আদিকোষী জীব বলে।
প্রকৃত কোষঃ
জীবের যেসকল কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস আছে তাদেরকে প্রকৃত কোষ বলে ।প্রকৃত কোষ দ্বারা গঠিত জীবকে প্রকৃতকোষী জীব বলে ।
দেহ কোষ এর সংজ্ঞা মধ্যে হে একটি ভুল আছে মনে হয় কোড আছে লেখা হবে মনে হয় কোষ