এ পাঠে যা রয়েছে-
অস্টিওপোরোসিস
অস্টিওপোরোসিস কি?
অস্টিওপোরোসিস একটি ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগ, অস্থির ঘনত্ব মাপার যন্ত্রের সাহায্যে রোগ নির্ণয় করা যায়।
অস্টিওপোরোসিস কাদের হয় ?
বয়স্ক পুরুষ ও নারীদের সাধারণত এ রোগটি হয়। স্টেরয়েড সেবনকারী পুরুষ ও মেনোপজ হওয়া নারীরা এই রোগে আক্রান্ত হয় বেশি। যারা অলস জীবনযাপন করেন বা কায়িক পরিশ্রম কম করেন অথবা অনেকদিন ধরে আরআইটিসি ভুগছেন তাদের এ রোগ হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।
অস্টিওপোরোসিস কারণ
দেহের দেহে খনিজ লবণ বিশেষ করে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণে এ রোগ হয়। নারীদের মেনোপজ হওয়ার পর অস্থির ঘনত্বও পুরুত্ব কমতে থাকলে এ রোগ হয়।
অস্টিওপোরোসিস লক্ষণ
-
- অস্থি ভঙ্গুর হয়ে যায়, ঘনত্ব কমে যায়।
- পেশীর শক্তি কমে যায়।
- পিঠের নিচের দিকে ব্যথা অনুভব হয় ।
- অস্থিতে ব্যথা অনুভব হয় ।
অস্টিওপোরোসিস প্রতিকার
-
- পঞ্চাশোর্ধ পুরুষ ও নারীদের দৈনিক ১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা ।
- ননী তোলা দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য গ্রহণ করা।
- কমলার রস, সবুজ শাকসবজি, সয়াদ্রব্য ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়া।
অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ
-
- যথেষ্ট পরিমাণ সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসা ।
- ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
- চিকিৎসকের পরামর্শ মতে নিয়মিত ব্যায়াম করা।
- সুষম ও আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা।
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা গেঁটে বাত
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা গেঁটে বাত কি?
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এক ধরনের বাতরোগ শতাধিক বাতরোগের মধ্যে এটা অন্যতম ।
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা গেঁটে বাত কাদের হয়?
সাধারণত বয়স্করাই রোগে আক্রান্ত হয় ।
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা গেঁটে বাত এর লক্ষণ
-
- অস্থিসন্ধি বা গিটে ব্যথা হয় ।
- অস্থিসন্ধি গুলো শক্ত হয়ে যায়।
- অস্থিসন্ধি নাড়াতে কষ্ট হয় ।
- গিট ফুলে যায়।
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা গেঁটে বাত এর প্রতিকার
বয়স্কদের ক্ষেত্রে এ রোগ পুরোপুরি সারানো যায় না, তবে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করলে কিছুটা উপশম পাওয়া যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এ রোগের চিকিৎসা করা উচিত নয়।
-
- অত্যাধিক পরিশ্রম আর ভারী কাজ থেকে বিরত থাকা।
- যন্ত্রণাদায়ক গেটের উপর কুসুম গরম সেঁক নেয়া ।
- অস্থি সন্ধির নড়াচড়া ঠিক রাখতে হালকা ব্যায়াম করা ।
- ডাক্তারের পরামর্শমতো ওষুধ সেবন ও সঠিক চিকিৎসা করা ।
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা গেঁটে বাত এর প্রতিরোধ
-
- চিকিৎসক নির্দেশিত পদ্ধতিতে নিয়মিত ব্যায়াম করা।
- সুষম ও আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা।
- চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন না করা ।