এ পাঠে যা রয়েছে-
অনুজীব-ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য
অণুজীব
অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া খালি চোখে যেসব জীব দেখতে পাওয়া যায় না তাদেরকে অণুজীব বলে।যেমন- ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি।
ভাইরাস
ভাইরাস হলো প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড দ্বারা গঠিত, অকোষীয়, অতি আণুবীক্ষণিক, বাধ্যতামূলক পরজীবী জৈব কনা যা শুধুমাত্র উপযুক্ত পোষক কোষের অভ্যন্তরে বংশবৃদ্ধি করতে সক্ষম। ভাইরাস ল্যাটিন শব্দ যার অর্থ বিষ।
ভাইরাসের বৈশিষ্ট্যঃ
ভাইরাসের মধ্যে জীব ও জড় উভয় ধরনের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।
ভাইরাস জড় বৈশিষ্ট্য হল-
১. ভাইরাস অকোষীয়।
২. পোষক কোষের বাইরে ভাইরাস জড় বস্তুর মতো নিষ্ক্রিয়।
৩. ভাইরাসের দৈহিক বৃদ্ধি নাই ও উত্তেজনায় সাড়া দেয় না।
৪. ভাইরাসকে তাপ প্রয়োগ করে ক্যালসিয়াম করা যায়।
৫. জীব কোষের সাহায্য ছাড়া প্রজননক্ষম নয়। ইত্যাদি।
ভাইরাসের জীব বৈশিষ্ট্যগুলো হলো-
১. ভাইরাস বাধ্যতামূলক পরজীবী যা শুধুমাত্র পোষক কোষের অভ্যন্তরে সংখ্যাবৃদ্বি করতে পারে।
২. নতুন সৃষ্ট ভাইরাসে মূল ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে।
৩. ভাইরস মিউটেশন ঘটাতে ও প্রকারণ তৈরি করতে সক্ষম।
৪. ভাইরাসের দেহ জৈববস্তু,প্রোটিন আবরণ ও নিউক্লিক এসিড (DNA বা RNA) দিয়ে গঠিত।
৫. কোন কোন ভাইরাসে জেনেটিক রিকম্বিনেশন ঘটে। ইত্যাদি।
উপরোক্ত আলোচনা হতে দেখা যায় যে, ভাইরাসে জড় ও জীব উভয় ধরনের বৈশিষ্ট্যই বিদ্যমান। তাই ভাইরাসকে জীব ও জড়ের যোগসূত্র বলা হয়।