1. শক্তির পিরামিড
    • বাস্তু তন্ত্রের শক্তির প্রবাহ সর্বদাই একমুখী
  2. জীব বৈচিত্র
    1. প্রজাতিগত বৈচিত্র
    2. বংশগতিয় বৈচিত্র
    3. বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র
  3. ধাঙর

শক্তির পিরামিড

খাদ্য শিকলে যুক্ত প্রতিটি  পুষ্টি স্তরের শক্তি সঞ্চয় ও স্থানান্তরের বিন্যাস ছককে শক্তির পিরামিড বলে।  পিরামিডের সবচেয়ে নীচে উৎপাদক স্তরের শক্তির পরিমাণ পরবর্তী ট্রফিক লেভেল গুলোর চেয়ে অনেক বেশি। এজন্য উৎপাদক পিরামিডের ভূমিতে এবং চূড়ান্ত খাদক থাকে সবার উপরে। 

বাস্তু তন্ত্রের শক্তির প্রবাহ সর্বদাই একমুখী

 বাস্তুতন্ত্রে শক্তির প্রবাহ সবসময় একমুখী। শক্তির প্রবাহ কে কখনো বিপরীতমুখী করা যায় না। শক্তি প্রবাহের প্রতিটি ধাপে শতকরা ৯০ ভাগ শক্তি কমে যায়।  শক্তির ক্রমবর্ধমান ক্ষয় শিকলের আকারকে ৪ বা ৫ টি ধাপ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে । খাদ্য শিকল যত দীর্ঘ হবে উর্ধ্বতন ট্রফিক লেভেল এর শক্তির পরিমাণ ততই কমতে থাকবে এবং একপর্যায়ে এসে কোন শক্তি আর অবশিষ্ট থাকবে না। এজন্য বাস্তুতন্ত্রে  শক্তি প্রবাহ সবসময়ই একমুখী। 

শক্তির পিরামিড
শক্তির পিরামিড

জীব বৈচিত্র

 পৃথিবীতে বিরাজমান জীব গুলোর প্রাচুর্য এবং ভিন্ন তাই হল জীব বৈচিত্র।  জীব বৈচিত্র কে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা- 

প্রজাতিগত বৈচিত্র

 পৃথিবীতে বিরাজমান জীবগুলোর মোট প্রজাতির সংখ্যা কে বলা হয় প্রজাতিগত বৈচিত্র। এক প্রজাতির সাথে অন্য প্রজাতির বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্নতায় প্রজাতিগত বৈচিত্র ।

বংশগতিয় বৈচিত্র

বংশগতভাবে প্রাপ্ত জিনের গঠন এবং বিন্যাসের পরিবর্তন হয়ে জীবের মধ্যে যে বৈচিত্র ঘটে তাকে বলা হয় বংশগতীয় বৈচিত্র্য ।

বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র

একটি বাস্তুতন্ত্রের বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে পরিবর্তন দেখা দিলে সেখানকার জীব গুলোর মধ্যে পরিবর্তন হয়ে যে বৈচিত্রের সৃষ্টি হয় তাকে বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র বলা হয় ।

ধাঙর

পরিবেশের আবর্জনাভুক প্রাণীদের কে বলা হয় ধাঙ্গড়।  যেমন শকুন, চিল, কাক ইত্যাদি।

এ অধ্যায়ের অন্যান্য পাঠসমূহ-
১. বাস্তুতন্ত্র ও বাস্তুতন্ত্রের উপাদান
২. একটি পুকুরের বাস্তুতন্ত্র
৩.খাদ্য শিকল বা খাদ্য শৃংখল ও খাদ্যজাল