ক্রোমোজোমের প্রকারভেদ
সেন্ট্রোমিয়ারের সংখ্যা অনুযায়ী ক্রোমোজোম ৫ প্রকার। যথা-
১. মনোসেন্ট্রিক -১টি সেন্ট্রোমিয়ার থাকে
২. ডাইসেন্ট্রিক- ২টি সেন্ট্রোমিয়ার থাকে
৩. পলিসেন্ট্রিক- ২ এর অধিক সেন্ট্রোমিয়ার থাকে
৪. ডিফিউজড- সেন্ট্রোমিয়ার নির্দিষ্ট স্থানে সুস্পষ্টভাবে থাকে না
৫. অ্যাসেন্ট্রিক- কোন সেন্ট্রোমিয়ার থাকে না।
সেন্ট্রোমিয়ারের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে ক্রোমোজোম ৪ প্রকার। যথা-
১. মধ্যকেন্দ্রিক বা মেটাসেন্ট্রিকঃ
যে সকল ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ার একেবারে মাঝখানে অবস্থান করে তাদেরকে মধ্যকেন্দ্রিক বা মেটাসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম বলে।এর আকৃতি ইংরেজী V অক্ষরের মত।
২.উপ-মধ্যকেন্দ্রিক বা সাব-মেটাসেন্ট্রিকঃ
যে সকল ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ার মাঝখান একটু একপাশে অবস্থান করে তাদেরকে উপ-মধ্যকেন্দ্রিক বা সাব-মেটাসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম বলে। এর আকৃতি ইংরেজী L অক্ষরের মত।
৩. উপ-প্রান্তকেন্দ্রিক বা এক্রোসেন্ট্রিকঃ
যে সকল ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ারটি এক প্রান্তের কাছাকাছি অবস্থিত থাকে তাদেরকে উপ-প্রান্তকেন্দ্রিক বা এক্রোসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম বলে। এর আকৃতি ইংরেজী J অক্ষরের মত।
৪. প্রান্তকেন্দ্রিক বা টেলোসেন্ট্রিকঃ
যে সকল ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ারটি একবারে প্রান্তে অবস্থিত থাকে তাদেরকে প্রান্তকেন্দ্রিক বা টেলোসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম বলে। এর আকৃতি ইংরেজী I অক্ষরের মত।
কাজ, দেহ গঠন ও লিঙ্গ নির্ধারনের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ক্রোমোজোম দুই ধরনের। যথা-
১. অটোসোমঃ
যে সকল ক্রোমোজোম দৈহিক বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রনকারী জিন বহন করে তাদেরকে অটোসোম বলে। অটোসোমের সেটকে A চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয়। মানুষের দেহকোষে মোট ২২ জোড়া অটোজোম থাকে।
২. সেক্স ক্রোমোজোমঃ
যে সকল ক্রোমোজোম জীবের লিঙ্গ নির্ধারন করে তাদেরকে সেক্স ক্রোমোজোম বলে। এরা দুই ধরনের যথা- X ও Y । পুরুষে থাকে XY এবং স্ত্রীতে থাকে XX ক্রোমোজোম।