এ পাঠে যা রয়েছে-
কোষ চক্র
একটি কোষ সৃষ্টি এর বৃদ্ধি এবং পরবর্তীতে বিভাজন এ তিনটি কাজের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় তাকে কোষ চক্র বলে।হাওয়ার্ড ও পেল্ক এই কোষচক্রের প্রস্তাব করেন ।
প্রক্রিয়া
কোষ চক্র দুটি প্রধান ধাপে বিভক্ত যথা- ইন্টারফেস বা প্রস্তুতি পর্যায় ও এম ফেজ বা মাইটোসিস বিভাজন পর্যায়।
ইন্টারফেসঃ
কোষ বিভাজনের পূর্বে প্রস্তুতিমূলক এবং বিপাক সমৃদ্ধ ধাপকে ইন্টারফেস বলে। এটি বেশ দীর্ঘ ধাপ। এম ফেজ ধাপকে সম্পূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয় ইন্টারফেস অবস্থায় ।এটি তিনটি দশায় বিভক্ত যথা- G1 দশা, S দশা ও G2 দশা।
G1 দশা
একটি কোষ পরবর্তীতে বিভাজন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবে কিনা তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই দশায়। এ সময় প্রয়োজনীয় অন্যান্য প্রোটিন আরএনএ এবং ডিএনএ প্রতিলিপিকরণ তৈরি হয়। মোট কোষচক্রের ৩০-৪০% সময় এই দশায় ব্যয় হয়।
S দশা
এই দশার প্রধান কাজ হলো নিউক্লিয়াসের ক্রোমোজোমস্থ ডিএনএ সূত্রের প্রতিলিপন । এতে ৩০-৫০% সময় ব্যয় হয় ।
G2 দশা
এই দশার প্রধান কাজ হলো মাইটোসিস পর্যায় স্পিন্ডল তন্তু তৈরি করে বিভাজন প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি (ATP) তৈরি করা ।
মাইটোসিস
একটি জটিল প্রক্রিয়া নিউক্লিয়াসের বিভাজন ও পুনর্গঠন, সাইটোপ্লাজম এর নতুন কোষে গমন,সেল মেমব্রেন এবং উদ্ভিদ কোষে কোষ প্রাচীর গঠনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ দুটি অপত্য কোষ সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে এই ধাপ সমাপ্ত হয়।