এ পাঠে যা রয়েছে-
অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন
সংজ্ঞা
যে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় একটি মাতৃকোষের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম কোন জটিল মাধ্যমিক পর্যায়ে ছাড়াই সরাসরি বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্য কোষের সৃষ্টি করে তাকে অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন বলে।
প্রত্যক্ষ কোষ বিভাজন
অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন এর ক্ষেত্রে মাতৃকোষের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম কোন জটিল মাধ্যমিক পর্যায়ে ছাড়াই সরাসরি বিভক্ত হয়ে দুটি সমান বা অসমান অপত্য কোষের সৃষ্টি করে। আর এ কারণেই অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজনকে প্রত্যক্ষ কোষ বিভাজন বলে।
অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন পদ্ধতি
অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজনের সময় মাতৃকোষ এর মধ্যকার নিউক্লিয়াস কি ক্রমশ লম্বা হয়ে ডাম্বেলের আকার ধারণ করে এবং মাঝ বরাবর সংকুচিত হয় পরস্পর হতে পৃথক বিচ্ছিন্ন হওয়া শুরু করে। একই সাথে মাতৃকোষের প্রাচীর সাইটোপ্লাজমসহ সংকুচিত হয়ে রিং আকারের খাঁজ সৃষ্টি করে ।খাঁটি ক্রমশ গভীর হতে থাকে এবং নিউক্লিয়াসসহ সাইটোপ্লাজম দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্য কোষে পরিণত হয় । পরবর্তীতে প্রতিটি অপত্য কোষ ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে মাতৃকোষের অনুরূপ আকার ধারণ করে ।
অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজনের গুরুত্ব বা তাৎপর্য
১. অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে নিম্ন শ্রেণির জীব তার সংখ্যা বৃদ্ধি করে। যেমন- অ্যামিবা ,ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি ।
২. কোন জটিল প্রক্রিয়া ছাড়াই এই কোষ বিভাজন ঘটে বলে নিম্নশ্রেণির জীবের বৃদ্ধি ও বংশগতি মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
৩. নিউক্লিয়াস, ক্রোমোজোম ও সাইটোপ্লাজমের সমতা রক্ষিত হওয়ায় অপত্য কোষের গুনাগুন মাতৃকোষের সমান হয়। ফলে সৃষ্ট অপত্য কোষে বংশগতির ধারা রক্ষিত হয়।
৪. বিজ্ঞানী স্টাসবার্জার এর মতে অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়া থেকে জটিল ও উন্নত কোষ বিভাজন পদ্ধতির উৎপত্তি হয়েছে ।
৫. কোন কোন এককোষী জীবের সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এ প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ।